জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ খ্রি./৯ জিলহজ ১৪৩৭ হিজরি সালের পবিত্র হজ হবে। হজ চুক্তি মোতাবেক এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনের জন্য গাইড ও মুনাজ্জেম এবং রাষ্ট্রীয় খরচে হজ পালনকারীসহ ১,০১,৭৫৮ জন (এক লক্ষ এক হাজার সাত শত আটান্ন) হজযাত্রী হজ পালনের জন্য সৌদি আরব গমন করতে পারবেন।
হজে যাওয়ার জন্য প্রথম ধাপ প্রাক্-নিবন্ধন।
প্রাক্-নিবন্ধন:
হজে যাওয়ার জন্য প্রথম ধাপ প্রাক্-নিবন্ধন। সৌদি ‘ই হজ সিস্টেমের’ সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য এবছর থেকে হজযাত্রীদের জন্য প্রাক্-নিবন্ধন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। নিজে অথবা ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত বৈধ হজ এজেন্সির মাধ্যমে প্রাক-নিবন্ধনের প্রথম ধাপ সম্পন্ন করে পেমেন্ট ভাউচারসহ ব্যাংকে টাকা জমা দিন এবং আপনার প্রাক্-নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করুন। সর্বমোট হজযাত্রীর সংখ্যা ১,০১,৭৫৮ জন অতিক্রম করলে নিয়ম মত হজযাত্রীরা অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকবেন এবং পরবর্তী বছরে হজে যাবেন। প্রাক্-নিবন্ধন সংক্রান্ত কোন তথ্য জানার প্রয়োজন হলে ০৯৬০২৬৬৬৭০৭ নম্বরে টেলিফোনে যোগাযোগ করতে পারবেন।
প্রাক্-নিবন্ধন করতে যা লাগবে:
- জাতীয় পরিচয়পত্র, (১৮ বছরের নিচে বয়স যাদের, জাতীয় পরিচয়পত্র নেই সেক্ষেত্রে অভিভাবকের সঙ্গে জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে প্রাক নিবন্ধন করতে পারবেন)।
- পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
- মোবাইল নম্বর (যেখানে এসএমএস পাবেন)
- সরকারি ব্যবস্থাপনার জন্য ৩০,০০০(ত্রিশ হাজার টাকা), বেসরকারি ব্যবস্থাপনার জন্য ৩০,৭৫২ (ত্রিশ হাজার সাতশত বায়ান্ন) টাকা জমা দিতে হবে।
- এমআরপি পাসপোর্ট ( প্রাক্-নিবন্ধনের জন্য বাধ্যতামূলক নয় তবে নিবন্ধনের জন্য বাধ্যতামূলক। তাই তৈরি না থাকলে প্রস্তুত রাখুন )
যেখানে প্রাক্-নিবন্ধন করা যাবে:
- ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার
- জেলা প্রশাসকের কার্যালয়
- ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যালয়
- পরিচালক, হজ অফিস, আশকোনা, ঢাকা।
এর যেকোনো এক জায়গা থেকে হজযাত্রী নিজে অথবা তার প্রতিনিধি যোগাযোগ করবেন।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে চাইলে
বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় একাধিক প্যাকেজ রয়েছে । বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ন্যুনতম প্যাকেজ হলো তিন লাখ ৪ হাজার ৯০৩ টাকা। এ ছাড়া তিন লাখ ৬০ হাজার টাকা থেকে আরও বেশি টাকার প্যাকেজ রয়েছে।
কোথায় যোগাযোগ করবেন:
- ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত বৈধ হজ এজেন্সি কার্যালয়ে হজযাত্রী নিজে অথবা তার প্রতিনিধি যোগাযোগ করবেন।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় খরচের খাত
দুই ধরনের প্যাকেজেই প্রতি হজযাত্রীর জন্য বিমান ভাড়া এক লাখ ২৬ হাজার ৬৮৯ টাকা, জেদ্দা-মক্কা-মদিনা-মিনা-আরাফাতের যাতায়াত ব্যয়, মিনায় তাঁবু ভাড়া ও মোয়াল্লেম ফি ২২ হাজার ৮৬৯ টাকা, জমজম পানি ৩১৫ টাকা, অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ ২১ হাজার টাকা, মিনা আরাফাতে ট্রেন ভাড়া পাঁচ হাজার ২৫০ টাকা, ব্যাংক গ্যারান্টি ১ হাজার ৪২৮ টাকা, স্থানীয় সেবা মূল্য ৮০০ টাকা, আপৎকালীন তহবিল ২০০ টাকা, হজ প্রশিক্ষণ ফি ৩০০ টাকা, খাওয়ার খরচ ৩৩ হাজার ৬০০ টাকা, ব্যাগ বাবদ ২ হাজার টাকা ও হজ গাইড সাত হাজার ৭১১ টাকা। এ ছাড়া প্রতি হজযাত্রীর জন্য মক্কা-মদিনায় বাড়িভাড়া একটি প্যাকেজে এক লাখ ৩৭ হাজার ৮৬৫ টাকা, অন্য প্যাকেজে ৮২ হাজার ৭৪০ টাকা।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় খরচের খাত
হজ এজেন্সির মাধ্যমে প্রত্যেক হজযাত্রীর জন্য বিমান ভাড়া এক লাখ ২৬ হাজার ৬৮৯ টাকা, জেদ্দা-মক্কা-মদিনা-মিনা-আরাফাতের যাতায়াত ব্যয়, মিনায় তাঁবু ভাড়া ও মোয়াল্লেম ফি ২২ হাজার ৮৬৯ টাকা, জমজম পানি ৩১৫ টাকা, ব্যাংক গ্যারান্টি ১ হাজার ৪২৮ টাকা, স্থানীয় সেবা মূল্য ৮০০ টাকা, আপৎকালীন তহবিল ২০০ টাকা, হজ প্রশিক্ষণ ফি ৩০০ টাকা, ব্যাগ বাবদ ২ হাজার টাকা। এ ছাড়া মক্কা-মদিনায় বাড়িভাড়া, খাবার খরচ, মিনা-আরাফাতে মোয়াল্লেমের অতিরিক্ত খরচ, হজ গাইড ও কোরবানির খরচ এজেন্সি প্যাকেজ অনুযায়ী ঠিক করে থাকে।
২০১৬ সনের হজ কার্যক্রমে হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন এবং হজ এজেন্টদের নিকট হতে প্রদত্ত হজযাত্রীদের মোয়াল্লেম ফির অর্থ সংগ্রহের লক্ষ্যে ব্যাংকসমূহকে মনোনয়ন প্রদান প্রসঙ্গে
মার্চ 9, 2016
উপযুক্ত বিষয়ে জানানো যাচ্ছে যে, ২০১৬ সনের হজ কার্যক্রমে হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন এবং হজ এজেন্টদের নিকট হতে প্রদত্ত হজযাত্রীদের মোয়াল্লেম ফির অর্থ সংগ্রহের লক্ষ্যে নিম্নোক্ত ২৪ টি বাংককে কার্যক্রম পরিচালনা করার নিমিত্ত অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে।
হজ ২০১৬ খ্রিঃ(১৪৩৭ হিজরি) মৌসুমে ই-হজ সিস্টেম শতভাগ বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে।
মার্চ 7, 2016
এতদ্ বিষয়ে বাংলাদেশ হজ অফিস, জেদ্দা থেকে প্রাপ্ত পত্র খানি সংযুক্ত আকারে দেয়া হলো । বিস্তারিত নিম্ন থেকে ডাউনলোড করে দেখুন ।
প্রাক নিবন্ধনের স্বচ্ছতা কীভাবে নিশ্চিত হবে ?
মার্চ 6, 2016
প্রাক্-নিবন্ধনের স্বচ্ছতা কীভাবে নিশ্চিত হবে?
হজ ব্যবস্থাপনা স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও জবাবদিহির আওতায় আনার জন্য ২০১৬ সালের হজ ও ওমরানীতিতে হজে গমনেচ্ছুব্যক্তিদের প্রাক্-নিবন্ধনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়ছে । এছাড়াও সৌদি আরবের ই–হজ সিস্টেমের সঙ্গে বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনা সমন্বয়ের জন্য এ ব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয়েছে । ইতোপূর্বে প্রাক –নিবন্ধন ব্যবস্থাপনা না থাকায় সরকারের কাছে হজে যেতে ইছুক ব্যক্তিদের সুনিদিষ্ট তথ্যের অভাবে হজে যাওয়ার ক্ষেত্রে মানুষের নানা প্রকার হয়রানির সম্মুখীন হতে হতো এবং হজ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সন্দেহ ও অবিশ্বাসের ধুম্রজাল তৈরি হতো। এ সব বিষয়াদি বিবেচনা করে প্রাক –নিবন্ধন এবংপ্রাক-নিবন্ধন পর্যায়ে নিম্নোক্ত পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করা হয়েছে:
১।প্রাক্-নিবন্ধন সার্ভারে আপডেট ডাটা এন্ট্রির অবস্থাও অবস্থান প্রদর্শন করবে যা সবাই তৎক্ষণাত দেখতে এবং পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন | এর ফলে কোন রকম গুজব সৃষ্টি করে হজ ব্যবস্থাপনায় উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে পারবেন না ।
২। ১৮ বছরের উপরে (প্রবাসী ও ১৮ বছরের কম বয়সী ব্যক্তি ব্যতিত)সকলব্যক্তির NID র তথ্য বাধ্যতামুলক | এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের তথ্য ভান্ডারের সঙ্গে প্রাক্-নিবন্ধন সার্ভারের কারিগরি সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। ১৮বছরের উপরের প্রবাসীও ১৮ বছরের কম বয়সী ব্যক্তি ব্যতিত কোনব্যক্তিরনাম,পিতারনাম, মাতারনাম, সরাসরি এন্ট্রি বা সংশোধনের কোন সুযোগ নেই বিধায় কোন ভাবে কাল্পনিক নাম প্রাক –নিবন্ধন সার্ভারে এন্ট্রি করা যাবে না।
৩। প্রাক্-নিবন্ধন সার্ভারে ডাটা এন্ট্রি করলেই তাকে কোন ক্রমিক নম্বর দেয়া হবেনা । ব্যাংকে প্রাক্-নিবন্ধন জামানত নিশ্চিত না করা পর্যন্ত তার তথ্যাবলী খসড়া আকারে থাকবে।
৪। যেসকল ব্যক্তির তথ্য জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ভান্ডার কর্তৃক যাচাই হবে না অর্থাৎ যাদের বয়স ১৮বছরের নীচে তাদের জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং যারা প্রবাসী বাংলাদেশী তাঁদের দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ/বিদেশে বসবাসের আইডি (প্রাক্-নিবন্ধন সার্ভারে এন্ট্রিকৃত) ব্যাংক কর্মকর্তা মিলিয়ে দেখবেন এবং প্রাক্-নিবন্ধনের জামানত গ্রহন করবেন।
৫। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ প্রাক্-নিবন্ধনের জামানতের টাকা প্রাপ্তি প্রাক্-নিবন্ধন সার্ভারে নিশ্চিত করলেই উক্ত সময়ের খালি ক্রমিক নম্বরটি প্রাক্-নিবন্ধনকারীকে প্রদান করা হবে। প্রতিটি ক্রমিক নং ধারাবাহিকভাবে প্রদান করা হবে যাতে তারিখ ও সময় উল্লেখ থাকবে | ক্রমিক নম্বর কোথাও খালি রাখার কোন সুযোগ নেই। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাৎ্ক্ষনিক ভাবে হজযাত্রীকে প্রাক্-নিবন্ধনের ক্রমিক সনদ প্রিন্ট করে হাতে দিয়ে দিবেন।
৬। প্রাক্-নিবন্ধন সার্ভারে রক্ষিত প্রতিটি তথ্যের একটি কপি বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সার্ভারে সরাসরি সংরক্ষণ করা হবে। ফলে সরকারের অডিটর কিংবা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা যে কোন সময় প্রাক-নিবন্ধন ক্রমিক নাম্বার যাচাই করতে পারবেন। এজন্য প্রয়োজনীয় রিপোর্ট পদ্ধতি সিস্টেমে সংযোজন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ডিজিটাল তথ্য কোন রকম পরিবর্তন করলে তা অবশ্যই চিহ্নিত করা যাবে এবং এখানে কোন ভাবেই তা এড়ানোর সুযোগ নেই।
৭। প্রাক্-নিবন্ধন সার্ভারের তথ্যাবলি নিরীক্ষণের (Audit)জন্য সরকার একটি কমিটি গঠন করেছে যেখানে দেশের কম্পিউটার বিশেষজ্ঞরা আছেন । তাঁরা প্রাক্-নিবন্ধন সার্ভারের তথ্যবলী সময়ান্তরে যাচাইক রবেন।